ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় দিনে দুপুরে নারীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেঠা করে নির্যাতন চালালেন দূর্বৃত্তরা

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়ায় দিনে দুপুরে এক নারীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেঠা করে নির্যাতন চালিয়েছে একদল দুবৃর্ত্ত। ওই নারী গুরুতর আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ওই ঘটনাস্থল থেকে নারীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করেন। ২৬ ফেব্রম্নয়ারী (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী গ্রাম আবাদিঘোনায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার নারী লায়লা বেগম (৪০)। সে ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী।

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকাল ১১ টার দিকে গৃহবধূ লায়লা বেগম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে ছনখোলারজুম ষ্টেশনের মুদির দোকানে যান। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে তাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী জুবাইদা বেগম জানান, লায়লা বেগম আমার নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী হন। ছনখোলারজুম ষ্টেশন থেকে বাজার করে বাড়ি আসার পথে আবাদিঘোনা সোহেলের বাপের বাড়ির সামনে তাকে হামলা চালানো হয়। পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে আবাদিঘোনার মৃত মোজাহের আহমদ প্রকাশ মজুর ছেলে রবিউল আলম, তার ভাই শফিউল আলম, বাদশাহ মিয়া, ভারম্নয়াখালীর শিব্বির আহমদের ছেলে নেজাম উদ্দিন, দুলা মিয়ার পুত্র জয়নাল, মজুর ছেলে সালাহ উদ্দিনসহ ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে লায়লা বেগমকে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। তার একটি হাতের কব্জি কেটে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাব বেগম, শাকেরা বেগম ও তোফাজ্জল করিমসহ আরো অনেকে জানান, আবাদিঘোনায় রিজার্ভ জায়গা নিয়ে লায়লা বেগমের নিকট আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন গং ও মজুর ছেলে রবিউল আলম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর সুত্র ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে গত বছর দু’য়েকের ব্যবধানে ৫/৬ টি মামলা হয়েছে। মূলত ওই শত্রুতার জের ধরে লায়লা বেগমকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: